❤অপেক্ষার শেষ প্রহর❤,বিয়ের রাত্রি
❤অপেক্ষার শেষ প্রহর❤
জয়নাল আবেদীন
বিয়ের রাত্রি মিতালী বোস শফিককে বলেছিল স্টেশনে অপেক্ষা করতে, যে কোনো একটা ট্রেন পেলেই আমি ফিরে আসবো তোমার কাছে। সেই থেকে প্লাটফর্মে ট্রেন এসে থামলেই শফিকের চোখ দুটি ইঞ্জিন থেকে শেষ বগি পর্যন্ত কয়েকবার ঘুরতে থাকে। অনেক বড় অপেক্ষার ইতি টানবে ভেবে আগন্তুক যাত্রীদের ভিতর তন্ন তন্ন করে খুঁজতে থাকে। মিতালী বোস যে আজই আসবে এমন নিশ্চিত আশা নিয়ে অপেক্ষা করে না তবে আজ আসতেও পারে সেই প্রতিক্ষায় বছরদুই হলো প্লাটফর্মেই দিন কাটে শফিকের।
ক্লাসের সব চাইতে সুন্দরী এবং স্মার্ট মিতালী বোস শফিককে ভালবেসে ফেলেছিল। শফিক সেই ভালবাসার টানে এবং মিতালী বোস এর সম্মতিতে বিয়ে করার ইচ্ছা টা মনের ভিতর দমিয়ে না রেখে বোস বাড়িতে সরাসরি প্রস্তাব পাঠায়। বোস বাড়ির ধর্মীয় মত আর আভিজাত্য শফিকের সাথে সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় প্রস্তাবটি সম্পূর্ণভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, অতি দ্রুত মিতালী বোস কে জোর করে স্ব-ধর্মীয় অমিত সাহার সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হয়। মিতালী বোসের অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিয়ের মন্ত্র পাঠ করে সাতপাকে বাঁধা পরলেন অমিত সাহার সাথে।
অমিত সাহা ব্যবসার প্রয়োজনে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে সকাল সকাল বিদায় নিতে মিতালী বোসের কাছে এলো। বিদায় জানাতে গিয়ে মিতালী বোস কি মনে করে আজ হঠাৎ অমিত সাহার পদ যুগল স্পর্শ করে আশির্বাদ চাইলেন তা কোনোমতেই অমিতের বোধগম্য হয়নি। অমিত সাহা মিতালী বোসকে বুকে টেনে নিয়ে আলতো করে কপালে একটা চুম্বন এঁকে দিয়ে বলল ভালো থেকো। মিতালী বোস মনে মনে বলতে লাগলো তোমার এই ভালো থেকো কথাটাই যেনো আমার সারা জীবনের আশির্বাদ হয়ে থাকে। অমিত সাহা রিক্সায় উঠে বসে পরলো মিতালী বোস বার
জয়নাল আবেদীন
বিয়ের রাত্রি মিতালী বোস শফিককে বলেছিল স্টেশনে অপেক্ষা করতে, যে কোনো একটা ট্রেন পেলেই আমি ফিরে আসবো তোমার কাছে। সেই থেকে প্লাটফর্মে ট্রেন এসে থামলেই শফিকের চোখ দুটি ইঞ্জিন থেকে শেষ বগি পর্যন্ত কয়েকবার ঘুরতে থাকে। অনেক বড় অপেক্ষার ইতি টানবে ভেবে আগন্তুক যাত্রীদের ভিতর তন্ন তন্ন করে খুঁজতে থাকে। মিতালী বোস যে আজই আসবে এমন নিশ্চিত আশা নিয়ে অপেক্ষা করে না তবে আজ আসতেও পারে সেই প্রতিক্ষায় বছরদুই হলো প্লাটফর্মেই দিন কাটে শফিকের।
ক্লাসের সব চাইতে সুন্দরী এবং স্মার্ট মিতালী বোস শফিককে ভালবেসে ফেলেছিল। শফিক সেই ভালবাসার টানে এবং মিতালী বোস এর সম্মতিতে বিয়ে করার ইচ্ছা টা মনের ভিতর দমিয়ে না রেখে বোস বাড়িতে সরাসরি প্রস্তাব পাঠায়। বোস বাড়ির ধর্মীয় মত আর আভিজাত্য শফিকের সাথে সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় প্রস্তাবটি সম্পূর্ণভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, অতি দ্রুত মিতালী বোস কে জোর করে স্ব-ধর্মীয় অমিত সাহার সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হয়। মিতালী বোসের অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিয়ের মন্ত্র পাঠ করে সাতপাকে বাঁধা পরলেন অমিত সাহার সাথে।
অমিত সাহা ব্যবসার প্রয়োজনে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে সকাল সকাল বিদায় নিতে মিতালী বোসের কাছে এলো। বিদায় জানাতে গিয়ে মিতালী বোস কি মনে করে আজ হঠাৎ অমিত সাহার পদ যুগল স্পর্শ করে আশির্বাদ চাইলেন তা কোনোমতেই অমিতের বোধগম্য হয়নি। অমিত সাহা মিতালী বোসকে বুকে টেনে নিয়ে আলতো করে কপালে একটা চুম্বন এঁকে দিয়ে বলল ভালো থেকো। মিতালী বোস মনে মনে বলতে লাগলো তোমার এই ভালো থেকো কথাটাই যেনো আমার সারা জীবনের আশির্বাদ হয়ে থাকে। অমিত সাহা রিক্সায় উঠে বসে পরলো মিতালী বোস বার
Post a Comment